অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : নার্সকে চড় মারার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক এফ এম আতিকুর রহমানকে হাসপাতালে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনা ঘটেছে। পরে তত্ত্ববধায়কের মধ্যস্থতায় তিনি মুক্তি পান। ক্ষমা না চাইলে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে ইন্টার্ন নার্সরা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একাধিক সূত্র জানায়, মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক ড. এফ এম আতিকুর রহমান বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মেডিসিন ইউনিটে রাউন্ডে রোগী দেখতে যান। এ সময় তিনি সেখানে কর্মরত ইন্টার্নী নার্সদের রোগীর স্বজনের বাইরে বের করে দিতে বলেন। এর এক পর্যায়ে ওই নার্সকে চড় মারেন তিনি।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী রুবিনা আক্তার পটুয়াখালী সরকারি নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী। বর্তমানে সে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টারশীপ করছেন।
রুবিনা জানান, চিকিৎসক আতিক রাউন্ডে আসার পরে রোগীদের ভিজিটরদের দেখে রেগে যান এবং বলেন ওয়ার্ড থেকে ভিজিটররা গেল না কেন। তারপরে তিনি আমার পিঠে চড় মারেন এবং ভিজিটরদের বের করে দিতে বলেন।
রুবিনা আরও বলেন, “ভিজিটরদের যেতে বললে যদি না যায় তাদের হাত ধরে তো বের করে দিতে পারি না। এ ঘটনা ঘটার পর ম্যাডামদের জানাই। ম্যাডামরা ব্যাপারটা দেখবেন বলেছেন।
এদিকে রুবিনাকে মারার পর ইন্টার্ন নার্সদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো ক্যাম্পাস।
জহির মেহেরুন নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ও পটুয়াখালী হাসপাতালের ইন্টারনি নার্স মোঃ ফাহাদ বলেন, “আমাদের সিনিয়র আপুদের গায়ে হাত দিয়েছেন আতিক স্যার। এরকম ঘটনা আগেও ঘটেছে। ওয়ার্ডে ময়লা পরে থাকতে দেখলেও আমাদের দিয়ে সেই ময়লা পরিষ্কার করান। এর জন্য আলাদা লোক রয়েছে। আমরা মানুষকে সেবা দিতে এসেছি। অন্য কাজগুলো যাদের দায়িত্ব তারা করবে “
মুঠোফোনে এ বিষয় ডা. আতিকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “তেমন কিছু হয়নি। সেবীকাদের শুধু বলেছি, ওয়ার্ড থেকে ভিজিটর বের করে দিতে। যাতে নির্বিগ্নে রোগীদের সেবা দেয়া চায়। কিন্তু বিষয়টা তারা অন্যভাবে নিয়েছেন। তাদের লাঞ্ছিত বা শরীরে হাত দেয়ার প্রশ্নই ওঠেনা।”
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুল মতিন জানান, বিষয়টি দেখা হবে। সিস্টারদের লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি।
Leave a Reply